মেয়েটার ক্যন্সার ধরা পড়ার পর ছেলেটা আর আসে না…

ক্লাস টেনের প্রথম দিনেই তার প্রেমে পড়েছিল ছেলেটা।
ছোট্ট চোখ, হালকা চুলে খেলা করা রোদ্দুর, আর সেই অব্যক্ত হাসি – মায়ার ঘোর ছিল।
বছরের পর বছর, স্কুল-কলেজ-পার্ক-স্মৃতির পাতা জুড়ে ছিল ওদের ভালোবাসার গল্প।

তারপর একদিন রিপোর্ট এলো:

ডাক্ট সেল কারসিনোমা অব দি লেফ্ট ব্রেস্ট (স্টেজ টু )

সে ভেঙে পড়লেও, ছেলেটাকেই প্রথম জানায়।
কিন্তু সেই দিনটাই শেষ দেখা…

📵 ছেলেটা ধীরে ধীরে হারিয়ে গেল।
কোনো ব্লক-করল-না, ব্যাখ্যাও দিল না।
শুধু হারিয়ে গেল চুপিচুপি, অনেক দূরে।

প্রতিদিন হাসপাতালের চাদরে মোড়ানো মেয়েটা শুধু জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকে।
আশায় থাকে, হয়তো একটা পরিচিত মুখ আবার আসবে।
একটা হাত বাড়াবে, বলবে:
“ভয় পেয়েছিলাম… কিন্তু তুই একা লড়বি না।”

❌ কিন্তু না, কেউ আসে না।
কারণ প্রেমের পরীক্ষায় সবাই পাশ করে না।
আর ক্যান্সার অনেক সময় শুধু শরীর না, সম্পর্কটাকেও খেয়ে ফেলে।

🕊 তবুও মেয়েটি বাঁচে।
সাহস নিয়ে কেমো নেয়, চুল পড়ে, ত্বক শুকিয়ে যায় — তবুও লড়ে যায়।
একদিন এক নার্স বলে,
“তুমি জানো? অনেকেই আসে না। কিন্তু কেউ কেউ নতুনভাবে আসেও…”
এক ছোট্ট বাচ্চা আসে তাকে দেখতে, বলে “তুমি আমার মায়ের মতো সাহসী!”

❤️‍🩹 মেয়েটি হাসে। চোখে জল আসে না, আসে আলো।
সে জানে, ভালোবাসা যদি ফেলে যায়, সহমর্মিতা তাকে জড়িয়ে ধরে।
এই পৃথিবীতে সবাই চলে যায় না, কেউ কেউ থেকে যায়, নতুন পরিচয়ে।

 

4 thoughts on “মেয়েটার ক্যন্সার ধরা পড়ার পর ছেলেটা আর আসে না…”

  1. খুব সুন্দর লেখনী স্যার।ভালো লাগলো

Comments are closed.