বাংলাদেশে তামাক সহজলভ্য। অনেকেই এর ক্ষতি বোঝে না। সিগারেট, বিড়ি, হুক্কা, খৈনি, সিগার, সাদাপাতা, জর্দা, দোক্তা কিমাম, পানমশল, গুল—সবই তামাকজাত দ্রব্য। এগুলো ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
১. ফুসফুসের ক্যান্সার
প্রতিটি সিগারেটে থাকে ৭,০০০-এর বেশি রাসায়নিক। তার মধ্যে নিকোটিন, টার, প্যারনাইট ইত্যাদি আছে। এরা ফুসফুসের কোষ ধ্বংস করে। ধীরে ধীরে ফুসফুসে টিউমার তৈরি হয়।
২. মুখ, গলা ও খাদ্যনালীর ক্যান্সার
তামাক চিবিয়ে রাখলে বা চুনগোল্লা খেলে মুখের ঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গলার কোষে টিউমার গজায়। ফলে গলা ব্যথা, খাবার না নেয়ার সমস্যা হয়।
৩. অন্যান্য অঙ্গের ক্যান্সার
প্যানক্রিয়াস (অগ্ন্যাশয়), কিডনি, মূত্রথলি—সব জায়গাতেই ক্যান্সার বাড়ে। কারণ ক্ষতিকর রাসায়নিক রক্তে মিশে, সেখানে কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে।
৪. সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং
যেখানে কেউ ধূমপান করে, আশেপাশের মানুষও ধোঁয়ার ভিক্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে শিশুরা ফুসফুস দুর্বল হয়। তাদের ফুসফুসে টিউমার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৫. থার্ড হ্যান্ড স্মোকিং
ধূমপায়ীর পোশাক, গৃহসজ্জা ও দেয়ালে লেগে থাকা তামাকের অংশদ্রব্য থেকেই ক্ষতিকর রাসায়নিক ছড়ায়।
- বাচ্চারা মেঝে ঘষে খেললে বা মুখে দিয়ে দিলে সেসব রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করে।
- ঘরের অভ্যন্তরে চা–কফি পাত্র, খেলনা, টেবিলেও অবশিষ্ট থাকে টার।
এগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৬. লক্ষণ জেনে নিন
- দীর্ঘদিন কাশি
- রক্ত মিশ্রিত বাস
- গলা ব্যথা বা গলা ঘনিষ্ঠতা
- মুখে বা গলায় আলগা গায়া
- অকারণে ওজন কমে যাওয়া
৭. করণীয়
- তামাক ত্যাগ করুন
– বিনা চিকিৎসায় চেষ্টা করুন।
– সমর্থন গ্রুপে যোগ দিন। - পরিবারের সহায়তা নিন
– মনোভাব পরিবর্তন করুন।
– একে-অপরের অনুপ্রেরণা থাকুক। - নিয়মিত পরীক্ষা করান
– বছরে একবার ফুসফুসের এক্স-রে।
– মুখ ও গলার পরীক্ষা। - সেকেন্ড ও থার্ড হ্যান্ড ধোঁয়া রোধ করুন
– ঘরে এবং গাড়িতে ধূমপান বন্ধ করুন।
– পোশাক বাইরে ধোয়া এবং বাতাস দেওয়া রাখুন।
সরকার ও এনজিও সচেতনতা বাড়াচ্ছে। তবে শেষ দায়িত্ব আমাদের। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, তামাক ত্যাগই উত্তম পথ। আজই সিদ্ধান্ত নিন—স্বাস্থ্যই সম্পদ।